(স্মরণে শুদ্ধানন্দ মহাথের)
সুপায়ন বড়ুয়া
তুমি ও গেলে চলে শান্তির আলয় ছেড়ে
অশান্ত বিশ্বে শান্তির ধ্বজা উড়ে।
তোমার মায়াবী চোখে অনাথ শিশুরা দেখেছিল
আগামী দিনের উজ্জ্বল সোনালী আভা।
তাদের চোখে নামে অঝড় ধারায় জ্বলন্ত অগ্নি লাভা।
তোমার ছায়ায় উঠেছিল যারা বেড়ে
তুমি নেই তাই তারা আজ হাহাকার করে ফেরে।
তুমি নেই তাই তোমার সাজানো বাগানে
আজ ফুটে না কোন গোলাপ।
সুগন্ধ ছড়ায়না কোন ফুল
ভোরের পাখিরা করে না কোন কলরব।
তোমার দিঘীর জলে আজ ফুটে না কোন শাপলা ফুল
সাতার কাটে না আজ কোন রাজ হাঁস।
দিঘীর পাড়ে বাধানো ঘাট আজ শুন্যতায় কাঁদে
দণ্ডায়মান বুদ্ধ আজ তোমাকে খুঁজে বেড়ায় সুর্য উঠার আগে।
তুমি নেই তাই তোমার সাজানো বাগানে
আজ কোলাহল গ্যাছে থেমে।
তোমার আশীর্বাদের ছোয়ায় যারা বিদেশে প্রতিষ্ঠিত
তোমার কল্যাণে যারা বিশ্বদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে আসিন
তোমার হাতের ছোঁয়ায় প্রতিষ্ঠিত নেতা, একুশে পদক জয়ী
তারা আজ তোমাকে হারিয়ে কাঁদে।
তুমি নেই তাই এতিমরা পাবেনা ঠাঁই
কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার হবে না উপায়
তোমার হাতে পাবে না মুসল্লীরা রমজানের ইফতারী
তুমি নেই তাই কেউ শোনাবে না আর
অশান্ত বিশ্বে শান্তির অমোঘ বাণী।
তুমি নেই তাই মনে পড়ে যায়
সেদিন সকাল বেলা, কৈশোর পেড়িয়ে যৌবনে দিয়েছি পা
চিরকুট দিয়ে বলেছিলাম,
তোমার সাজানো মঞ্চে আমার ও ছিল কিছু বলার।
তড়িৎ গতিতে বুকে টেনে নিয়ে
মাইক্রোফোন হাতে দিয়ে বলেছিলে,
হে আগামী দিনের নেতা
আমি বানিয়ে যাই মঞ্চ শুধু তোমাদের কথা ভেবে
আমার উদার জমিনে শুধু তোমাদের ঠাঁই হবে।
তুমি নেই তাই মনে পড়ে যায়
তোমার পদযুগলে তাল মিলিয়ে চলা
এই তারুণ্যকে বলেছিলে,
এখানে স্কুল হবে, এখানে খেলার মাঠ,
এখানে মন্দির, এখানে হাসপাতাল
এখানে দিঘী, পাথর বাধানো ঘাট।
এখানে বৌদ্ধ সৌভাতৃত্বের আন্তজাতিক হল।
আর সারা বিশ্বে হোক তোমাদের পদচারণা
অশান্ত বিশ্বে ছড়াবে শান্তির বাণী
তাই হোক তারুণ্য, আমার এই কামনা।